আমরা একেকজন মন খারাপের সাথে বোঝাপড়া করি একেকভাবে। অনেকেই আশ্রয় নেন খাবারের দিকে, ঝুঁকে পড়েন সুস্বাদু খাবারে। এদের বলা হয় ‘ইমোশনাল ইটার’। এই অভ্যাসের বেশ ভালো দিকও রয়েছে, যদি আপনি মন ভালো করে ফেলতে পারেন শুধু একদিন ভালো খাওয়া দাওয়া করেই; আবার এই অভ্যাস বেশ বিপজ্জনক ও হতে পারে, অনেকে এই অবস্থায় অনেক বেশি খেয়ে শরীরের ক্ষতি করেন।
তবে সেসব আমাদের আজকের আলোচনায় থাকবে না বেশি। আমরা আলাপ করবো কিছু বিশেষ খাবারের কথা যা সবার মন ভালো করে দিতে পারে। যদি এখন কোন কারণে মন খারাপ থাকে আপনার, তাহলে এই খাবার কয়টি ট্রাই দিয়েই দেখুন না। মন ভালো হয়ে যেতে পারে।
১। তৈলাক্ত মাছ: তেল শুনে পিছিয়ে পড়বেন না, মাছের তেল শরীরের জন্য বেশ উপকারি। এতে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড; যা ব্যায়ামবীররাও সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করেন, এই পুষ্টিকর উপাদান শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে, এবং উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। তৈলাক্ত মাছের কোন ডিশ খেয়েই দেখুন, খুব মন খারাপের মধ্যেও নিজেকে চাঙ্গা লাগবে।
২। হোল ফুড’স: দ্বিতীয়টিও ব্যায়ামবীরদেরই স্টেপল ডায়েট থেকে। আমরা শর্করা জাতীয় খাবার খাই পরিশোধিত অবস্থায়। যেমন সাদা চালের ভাত, সাদা আটার রুটি। এর বদলে হোল গ্রেইন বা অপরিশোধিত শর্করা যেমন লাল চাল, লাল আটা, মিষ্টি আলু ইত্যাদি অনেক বেশি পুষ্টিকর, এবং মনের জন্যও উপকারী।
৩। আখরোট: আখরোটে রয়েছে অনেক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, যার গুণগান আগেই করা হয়েছে।
৪। মাশরুম: মাশরুমের অদ্ভুত পুষ্টিগুণ রয়েছে, রক্তের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে আনার। এতে আমাদের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল হয় এবং সেরোটোনিন হরমোন উৎপন্ন হয় যা মন ভালো রাখে।
৫। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: দুধের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি বিষণ্ণতা দূর করতে খুব ভালো কাজ করে।
৬। গ্রিন টি: গ্রিন টি-র থিয়ানিন অ্যামিনো এসিড বিষণ্ণতা ও মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করে।
এসকল খাবার শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী, তাই মন ভালো করার জন্য এগুলো খেলে মুটিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। তবে আমাদের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে আমরা ওভারইটিং করে ফেলছি কিনা।