Anondadhara Online
Published on Anondadhara Online (https://anondadhara.com)

প্রথম পাতা > ‘একটা কাজ শেষে নতুন কাজ শুরু করি’

image

‘একটা কাজ শেষে নতুন কাজ শুরু করি’

Bibek এর ছবি
২ বছর ২ মাস ১৩ দিন আগে
  • facebook [1]
  • twitter [2]
  • google+ [3]
  • email [4]
  • print [5]
  • print [6]

আমিন রাজা লন্ডন প্রবাসী একজন সংগীত শিল্পী। দীর্ঘ ৩৫ বছর লন্ডনে বসবাস করছেন। সেখানে তার একটি রেডিও চ্যানেল রয়েছে। কাজের পাশাপাশি এখন তিনি বিশেষভাবে সংগীতে মনোনিবেশ করতে চাইছেন। তার সব বিষয় নিয়ে আনন্দধারা সম্পাদক রাফি হোসেনের মুখোমুখি হয়েছেন।

রাফি হোসেন : অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এখন সংগীতে আরো বেশি মনোনিবেশ করতে চাচ্ছেন কেন?

আমিন রাজা : সবার প্রশংসা থেকেই সংগীতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। সবাই বলে আমি গাইতে পারি। তখন চিন্তা করলাম গেয়ে দেখি না কেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই সবকিছু করতে হয়। ব্রিটেনের জীবন একটু অন্য রকমের। সেখাানে বাঙালি কম, তবে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বলা যায়। সেখানে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তার পরও চেষ্টা করছি সেখানে আমাদের সংস্কৃতিটা টিকিয়ে রাখতে।

রাফি হোসেন : ব্রিটেনে চতুর্থ প্রজন্মের বাংলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। তাদের মাঝে বাংলা সংস্কৃতি প্রয়োগ করা কতটা কঠিন?

আমিন রাজা : যখন বাচ্চারা ছোট থাকে, সেই সময় তারা স্পঞ্জের মতো। স্পঞ্জ দিয়ে যতটুকু পানি ওঠানো যায় কাপড় দিয়ে ততটুকু যায় না। কারণ পানিটা শোষণ করার মতো ক্ষমতা কাপড়ের থাকে না। বাচ্চারা বড়দের দেখে শিখে থাকে। তাই বড়রা তাকে যেভাবে যতটুকু শিক্ষা দেবে তারা সেভাবেই সেটা গ্রহণ করবে। আমি নিজে যেটা না করি, সেটা কখনো কাউকে করতে বলি না।

রাফি হোসেন : সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সেটা কীভাবে রূপান্তর করবেন?

আমিন রাজা : অনেককে দেখি জোর করে অনেক কিছু শেখাতে চেষ্টা করেন। জোর করে কিছু শেখানো যায় না। আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেকগুলো বই নিয়ে যেতে হতো। কিন্তু ইংল্যান্ডে খেলার মাধ্যমে সবকিছু শেখানো হয়। আমরা যদি আমাদের ছেলে-মেয়েদের বাংলা শেখাতে চাই, সংস্কৃতি শেখাতে চাই, তাহলে তাদেরকে প্রথমে তাদের মতো নিয়ে আসতে হবে। তারা যেভাবে শিখতে আগ্রহী, তাদের সেভাবেই শেখাতে হবে। আস্তে আস্তে তাদের চাহিদামতো শেখাতে হবে।

রাফি হোসেন : ইংল্যান্ডে যারা নতুন প্রজন্ম রয়েছে তাদের প্রধান ভাষা ইংরেজি। এটার মধ্যে বাংলা ভাষা সংস্কৃতি বিকাশ কীভাবে সম্ভব?

আমিন রাজা : আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ডে গিয়েছি, দেশের মাটির সুবাস এখনো আমাদের লেগে আছে। যার কারণে পরিবর্তন হতে চাই না। বর্র্তমানে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশে যারা থাকেন তারা আবার আমেরিকাকে অনুসরণ করেন। কিন্তু যারা আমরা বাইরে থাকি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম বেশি। বিদেশে থেকে মনে হয় দেশটা আগের মতোই আছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। আমরা একটা সংযোগ ঘটানোর চেষ্টা করছি। সংযোগ ঘটাতে হলে বর্তমানে যে সুযোগ-সুবিধা আছে, সেগুলোর ব্যবহার করতে হবে। আমাদের প্রযুক্তি আছে সেটা ব্যবহার করা উচিত। এখন মোবাইল ইন্টারনেট সবার কাছে আছে। এই সংযোগটা আমার রেডিওর মাধ্যমে তৈরির চেষ্টা করছি।

রাফি হোসেন : সংস্কৃতি একটি জাতিকে নিজস্ব পরিচয়ের মাধ্যম হিসেবে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি কীভাবে সংগীতের মাধ্যমে সেটা করছেন?

আমিন রাজা : আমি মূলত সংগীত এবং প্রযুক্তির ব্যবহার যৌথভাবে করছি। এখানের কিছু মানুষ যাদের প্রতিভা এবং আগ্রহ আছে, তাদের নিয়ে কাজ করতে চাই। মিডিয়াতে আগ্রহ না থাকলে কাজ করা সম্ভব না। আমাদের অনেক মেধাবী আছে। আমি চেষ্টা করছি তাদের একত্রিত করে মেধাটাকে কাজে লাগাানোর জন্য। বিদেশে যারা আছে, তাদেরও আমাদের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। সংস্কৃতির সঙ্গে সংযোগ ঘটানোর কাজটা কাউকে না কাউকে করতেই হবে। সেই জায়গা থেকে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদিও এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

রাফি হোসেন : বর্তমানে সংগীত নিয়ে কী কাজ করা হচ্ছে?

আমিন রাজা : সংগীতের পাশাপাশি রেডিওর কিছু কাজ করছি।

রাফি হোসেন : আপনার গানগুলো কি রেডিও এবং অনলাইনে মুক্তি পাবে?

আমিন রাজা : রেডিও, ইউটিউবে গানগুলো মুক্তি পাবে। তবে আমাদের দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যদি গানগুলো দেখায়, তাহলে ভালো লাগবে।

রাফি হোসেন : বাংলা গান নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা করছেন কি?

আমিন রাজা : বর্তমানে তিনটি বাংলা গান তৈরি করা রয়েছে। দেশাত্মবোধক একটি গান রয়েছে, যেটি দেশপ্রেমিক মানুষদের জন্য করেছি। যে কোনো গান করার আগে গানের কথা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন থাকি। গানের কথাগুলো অনেক সমৃদ্ধ হতে হবে।

রাফি হোসেন : আপনি নিজে সুর করছেন এবং গান লিখছেন?

আমিন রাজা : অনেকে বলেন এটা কীভাবে সম্ভব? এটা সম্ভব কারণ নিজে একজন ইলেকট্রিশিয়ান, প্লামার, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়িক এবং গান করি, অভিনয় করি, রেডিও-টেলিভিশনে উপস্থাপনা করি। ইংল্যান্ডে একটা সার্কেল লাইন রয়েছে। সেই সার্কেল অনুযায়ী যদি আপনি চলতে পারেন, তাহলে অনেক কিছু করতে পারবেন। অলস মানুষ কিছু করতে পারে না।

রাফি হোসেন : আপনি অনেক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। নিজের কোন পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?

আমিন রাজা : নিজেকে একজন কঠোর পরিশ্রমী মানুষ মনে করি। যে কাজ শুরু করি আমাকে সেটা শেষ করতে হয়। যেমন : যদি এখন ইলেকট্রিকের কাজ শুরু করি সেটা শেষ করব। গানের ক্ষেত্রেও তাই। একটা কাজ শেষ করার পর নতুন কাজ শুরু করি।

অনুলিখন : রওনাক ফেরদৌস

Anondadhara Series

পর্ব ৫১৪ [7]

Photographer

শাহরিয়ার কবির হিমেল [8]

Hide teaser Image

নীড়পাতা

যোগাযোগ

ডেইলি স্টার সেন্টার

৬৪-৬৫ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ,

ঢাকা - ১২১৫

ফোন : ৯১৩১৯৪২, ৯১৩২০২৫

সার্কুলেশন/বিজ্ঞাপন : ৯১৩২১১৬

সর্বশেষ সংবাদ

  • থিয়েটার করব বলে কখনো চাকরি করিনি : ফয়েজ জহির

    ২ বছর ২ মাস ৩ দিন আগে
  • রাঁধানী রান্না

    ২ বছর ২ মাস ৩ দিন আগে
  • ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ফ্যাশন

    ২ বছর ২ মাস ৪ দিন আগে
  • সততা এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে কোথাও সমস্যা হয় না : তানিন তানহা

    ২ বছর ২ মাস ৪ দিন আগে
  • কাং ইয়াতসে

    ২ বছর ২ মাস ৪ দিন আগে

ট্যাগস

  • diet
  • home remedy
  • health
  • diet tips
  • vegetable diet
  • deepika padukone
  • ranveer singh
  • health tips
  • mental health
  • office management
  • food habits
  • clean

এখানে খুঁজুন

অনুসন্ধান ফরম

অনুসন্ধান

Source URL: https://anondadhara.com/2020/03/12/ekttaa-kaaj-shesse-ntun-kaaj-shuru-kri