Anondadhara Online
Published on Anondadhara Online (https://anondadhara.com)

প্রথম পাতা > জলজ বসন্ত

image

জলজ বসন্ত

Bibek এর ছবি
১০ মাস ২১ দিন আগে
  • facebook [1]
  • twitter [2]
  • google+ [3]
  • email [4]
  • print [5]
  • print [6]

ফাল্গুন মানেই মনে হয় উজ্জ্বলতা। চারপাশে প্রচুর ফুল ফোটে। কিছু গাছের পাতা ঝরে আর কিছু গাছের পাতা গজায়। সূর্যের প্রখর আলোয় চারদিক জ্বলজ্বল করতে থাকে। আর হলুদ রঙ তো আছেই। সব মেয়ে তাই ঘুম থেকে উঠে সকালের মিষ্টি রোদটা দেখার সঙ্গে সঙ্গেই যেন ভেবে নেয় আজ ওই হলুদ শাড়িটাই পরব। ছেলেরাও কম যায় না সেদিক থেকে। হিমু হওয়ার বাইরেও অনেক ছেলের হলুদ পাঞ্জাবি পরার শখ হয় এই ফাল্গুনের দিনে। বসন্তের শুরু থেকেই কোকিলের গান চারদিকে মুখরিত করে রাখে। যেন সবাইকে জানান দেয় ‘বসন্ত এসে গেছে’। কোকিলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘জলের গানের’ গান পাখিরাও বসন্তের বারতা নিয়ে হাজির হয় প্রতি বছর ৪ ফাল্গুন চারুকলার বকুলতলায়। সারা বছর ধরে ‘জলের গান’ গানের দলটি যত সম্মানী পায়, তার থেকে কিছু অংশ রেখে দেয় এই দিনটিতে ভক্তদের জন্য গানের আসরের আয়োজন করতে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ৪ ফাল্গুন চারুকলার বকুলতলায় হাজারো ভক্তপ্রাণ একত্রিত হয়েছিল জলের গানের গানে বুঁদ হওয়ার জন্য। সঙ্গে ছিল গল্প, আড্ডা আর গুরুজন সম্মাননা প্রদান। এ বছরই গুরুজন সম্মাননা প্রদানের ধারা শুরু করেছেন জলের গানের প্রাণপাখি রাহুল আনন্দ। যাদের হাত ধরে এই জলের গানের পথচলা, বেড়ে ওঠা, যারা এই জলের গানের মনের মানুষ এমন সবাই গুরুজনকে একেক করে প্রতি বছর সম্মাননা দেয়ার আশায় বুক বেঁধেছে ‘জলের গান’।

গুরুজন সম্মাননার তালিকায় প্রথম স্থানেই ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব আজাদ আবুল কালাম। তাকে এ বছর গুরুজন সম্মাননা দেয়া হয় খুবই অভিনবভাবে। সম্মাননা শুনেই মনে হয় একটা ক্রেস্ট বা একটা উত্তরীয়। কিন্তু সেদিন এই ধারা ছিল একদমই ভিন্ন। বসন্তের ঝরাপাতা দিয়ে মালা গেঁথে গুরুজন আজাদ আবুল কালামকে মঞ্চে বরণ করেছেন শিল্পী রাহুল আনন্দের অর্ধাঙ্গিনী উর্মিলা শুক্লা।

তারপর একেক করে তাকে সম্মানী হিসেবে দেয়া হয়েছে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা। অন্ন ছিল সব খাবার সামগ্রী, বস্ত্র ছিল ফ্যাশন হাউজ ‘খুঁতের’ একটি জামা, চিকিৎসায় ছিল সব ভেষজ ওষুধ সামগ্রী, শিক্ষায় ছিল শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বই। বাসস্থানটা ছিল খুবই অন্যরকম। গুরুজনের বাবার ভিটেবাড়ি থেকে মাটি এনে তা দিয়ে খুব সহজাত একটি শিল্পকর্ম তৈরি করে দেয়া হয়েছে গুরুজনকে। যাতে করে তিনি তার বাবা-মায়ের বাড়ির মাটির স্বাদটা এত দূরে থেকেও অনুভব করতে পারেন। আর সব শেষে দেয়া হয়েছিল একটি ক্রেস্ট। ক্রেস্টটি দেয়া হয়েছিল গুরুজনের অর্ধাঙ্গিনীর হাত দিয়ে।

বসন্তকালের রঙ হলুদ। তাই ‘হলুদ ফুল’ গানটি দিয়ে শুরু হয়েছিল সেদিনের সন্ধ্যা। একেক করে নির্বাচিত বেশক’টি গান এবং নতুন কিছু গান গেয়েছে ‘জলের গান’। সাথে কলকাতা থেকে আগত অতিথি শিল্পী সৌপ্তিক মজুমদারের সূক্ষ্ম হাতের ছোঁয়ায় বাজছিল বেহালা। এমন করে আগামী বছর ৪ ফাল্গুন আরো নতুন গান ও ভক্তদের প্রতি নিরন্তর ভালোবাসা নিয়ে আবারো হাজির হবে ‘জলের গান’। তাদের তীর্থস্থান চারুকলার বকুলতলায়।

ছবি : আফজল তুহেল

Anondadhara Series

পর্ব ৫১৪ [7]

Author

আফরিন বুশরা [8]

Photographer

সংগ্রহ [9]

Hide teaser Image

নীড়পাতা

যোগাযোগ

ডেইলি স্টার সেন্টার

৬৪-৬৫ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ,

ঢাকা - ১২১৫

ফোন : ৯১৩১৯৪২, ৯১৩২০২৫

সার্কুলেশন/বিজ্ঞাপন : ৯১৩২১১৬

সর্বশেষ সংবাদ

  • থিয়েটার করব বলে কখনো চাকরি করিনি : ফয়েজ জহির

    ১০ মাস ৯ দিন আগে
  • রাঁধানী রান্না

    ১০ মাস ৯ দিন আগে
  • ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ফ্যাশন

    ১০ মাস ১০ দিন আগে
  • সততা এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে কোথাও সমস্যা হয় না : তানিন তানহা

    ১০ মাস ১০ দিন আগে
  • কাং ইয়াতসে

    ১০ মাস ১০ দিন আগে

ট্যাগস

  • diet
  • home remedy
  • health
  • diet tips
  • vegetable diet
  • deepika padukone
  • ranveer singh
  • health tips
  • mental health
  • office management
  • food habits
  • clean

এখানে খুঁজুন

অনুসন্ধান ফরম

অনুসন্ধান

Source URL: https://anondadhara.com/2020/03/10/jlj-bsnt