টাইফয়েড সম্পূর্ণ পানিবাহিত অসুখ। সাধারণত দূষিত খাবার বা পানীয় অর্থাৎ যে খাবার বা পানীয়ের মধ্যে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া কোনোভাবে প্রবেশ করে গেছে সেই খাবার বা পানীয় কোনো কারণে শরীরে প্রবেশ করলেই তার থেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন রোগী।
টাইফয়েডের সম্ভাবনা দেখা দিলে জ্বর কখনো বেশি মাত্রায়, কখনো কম মাত্রায় হয়ে থাকলেও সারাক্ষণই শরীরে জ্বর থাকে। রোগীর দুর্বলতা বাড়ে। মাথায় যন্ত্রণা হয়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পেট ব্যথার অভিযোগ থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। প্রথমে এমন উপসর্গ দেখা যায়, পরে ডায়রিয়া হতে পারে। শরীরে র্যাশ দেখা যায় অনেক সময়। জিভ-গলা শুকিয়ে যেতে থাকে। তাই অসুখের উপসর্গ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করে জ্বরের কারণ নির্ধারণ প্রয়োজন। টাইফয়েড ধরা পড়লে অতিসত্বর চিকিৎসা গ্রহণ করুন। এই রোগের জীবাণুকে ধ্বংস করতে নানা রকমের ভালো ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়। আগের দিনের ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও এখন নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়, যা টাইফয়েড সারাতে ভালো কাজ করে।
টাইফয়েডে আপনাকে বিশ্রাম নিতে হবে সতর্কভাবে। এরপর শারীরিক অবস্থা বুঝে কাজকর্ম শুরু করুন। বেশি পরিমাণে পানি পান করা এ সময় জরুরি। ফলের জুস বিশেষ করে অরেঞ্জ জুস খাওয়া ভালো। জ্বর কমাতে জ্বরের ওষুধ খেতে হবে। জ্বর কমাতে ঠাণ্ডা পানিতে মাথা ধুয়ে নিন। গা স্পঞ্জ করুন। জ্বর খুব বেড়ে গেলে আইস ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। কম মসলাযুক্ত খাবার খান। যেসব খাবার হজমে সহায়তা করবে তাই খান।
পানি ফুটিয়ে খান কিংবা খাওয়ার ক্ষেত্রে ফিল্টার পানি ব্যবহার করুন। খাওয়ার আগে হাত ভালো করে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে খেতে বসুন। ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে তবেই বাচ্চাকে খেতে দিন বা খাওয়ান। খাওয়ার থালা-বাটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে তবেই তা ব্যবহার করুন। খাবার খোলা পাত্রে রাখবেন না। সব সময় ঢাকা দেয়া পাত্রে খাবার রাখুন। কোনো খাবার বেশিক্ষণ ফ্রিজে রেখে খাবেন না। ফ্রিজে জমিয়ে রাখা খাবারে ব্যাকটেরিয়ার জীবাণু খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠতে পারে। সেদ্ধ গরম খাবার খেতে চেষ্টা করুন।