লিপস্টিক ছাড়া সাজ পূর্ণ হয় না একদম। লিপস্টিক দিলে যেন বেরঙ মুখে রঙের ছোঁয়া লাগে, সাজটা আরও বেশি করে ফুটে।
কিন্তু শত হোক লিপস্টিক বানানো হয় অনেকগুলো ক্যামিকেলের সমন্বয়ে যা মাঝে মাঝে আমাদের ঠোটের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দেখা দেয়।
অতিরিক্ত লিপস্টিক আপনার ঠোঁটকে রুক্ষ করে দিতে পারে, কালচে ভাব নিয়ে আসতে পারে ও আপনার ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়ার অন্যতম কারণও হতে পারে অতিরিক্ত লিপস্টিকের ব্যবহার।
কিন্তু তাই বলে কী লিপস্টিক পড়া ছেড়ে দিবেন? এটি সম্ভব না। কিন্তু লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ও পরে কয়েকটি সাধারণ টিপস মনে রাখলে লিপস্টিক আপনার ঠোঁটের তেমন ক্ষতি করতে পারবে না।
লিপস্টিক লাগানোর আগে
- একটি ব্যবহার করা টুথব্রাশ নিন ও একে কুসুম গরম পানিতে ২ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন
- নরম ব্রাশটি দিয়ে এবার আপনার ঠোঁটে গোলাকৃতি করে ঘুরান, এতে ঠোঁটের মৃত কোষগুলো ঝরে যাবে
- এবার একটি মসচেরাইজিং ক্রিম নিন ও ঠোঁটে লাগিয়ে অল্প কিছুক্ষণ রেখে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন
- আপনার পছন্দের কন্সিলারটি এবার ঠোঁটে লাগান ও এর উপরে সামান্য ফাউন্ডেশন লাগান
- ফাউন্ডেশন যেহেতু আপনার ঠোঁটকে শুষ্ক করে দিতে পারে, তাই ফাউন্ডেশনের উপরেও সামান্য মসচেরাইজার মাখুন ও এবার একটি বেশি সময় ধরে রাখুন
- বাকি ক্রিম পরিষ্কার করে এবার লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট আঁকুন
- এর উপরে প্রথম কোট হিসেবে একটি ম্যাট লিপস্টিক বেছে নিন। ম্যাট শেডটির উপরে একটি গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন
লিপস্টিক লাগানোর পর
- বাসায় এসেই চেষ্টা করবেন যত দ্রুত লিপস্টিক ঠোঁট থেকে পরিষ্কার করা যায়। খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে যাতে কোনো লিপস্টিক ঠোঁটে রয়ে না যায়
- হাতে বেশ খানিকটা পেট্রোলিয়াম জেলি নিন। এক্ষেত্রে ভ্যাসলিনের ভারি পেট্রোলিয়াম জেলিগুলো বেশি কাজে দিবে
- পুরো ঠোঁটে ভালো করে জেলি মাখুন ও হাত দিয়ে ঠোঁট ম্যাসাজ করুন। এতে লিপস্টিক ধীরে ধীরে পাতলা হবে এবং কিছুটা উঠেও আসবে
- এবার একটি পরিষ্কার টিস্যু নিন ও ঠোঁট ভালো করে ঘষুন। যতটা সম্ভব লিপস্টিক এই প্রকারে বের করে আনুন
- তবে সম্ভাবনা বেশি যে এইটুকুতে সম্পূর্ণ লিপস্টিক উঠে আসবে না। তাই আবারও আপনার ব্যবহার কড়া টুথব্রাশটি কুসুম গরম পানিতে ১-২ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন
- ঠোঁটে আরেক পরত পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান ও এবার ব্রাশ দিয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি সহ ঠোঁট কমপক্ষে ২ মিনিট ম্যাসাজ করুন
- সবশেষে একটু জেলি বা মসচেরাইজার মেখে নিন ঠোঁটে। যাতে আর্দ্রতা ফিরে আসে।