মা-বাবা বাচ্চাকে জোর করে খাওয়ান- এর সত্য প্রমাণের কিছু নেই। প্রায় প্রতি ঘরেই বাচ্চা খেতে চায় না। তাই জোর করে খাওয়াতে হয় এটা কমন সমস্যা। ডাক্তাররা অনেক সময় মা-বাবাকে পরামর্শ দেন যে বেশ খানিকটা সময় বাচ্চাকে খাবার খেতে না দিয়ে তারপর খাওয়াতে। এতে বাচ্চার ক্ষুধা লাগবে, তখন আর জোর করতে হবে না।
জোর করে বাচ্চাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করলে এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে অনেক সময়। বাচ্চার খাবার নিয়ে এক ধরনের ভীতি কাজ করে। এতে খাবার সামনে থাকলেই বা খাওয়ার সময় হলেই বাচ্চা পালাতে চেষ্টা করে। অনেক সময় খাবার দিলে বাচ্চারা মুখ বন্ধ করে রাখে। তখন মুখ খুলে খাওয়ানোর চেষ্টা করি, সেটাও ঠিক নয়। এতে বাচ্চার খাবারের প্রতি আরো বিরক্তি বাড়ে।
এ থেকে পরিত্রাণের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। প্রথমেই মনে রাখা দরকার অনেকেব বেশি পরিমাণে খেতে পারে, আবার অনেকে বারে বারে অল্প পরিমাণে খেতে ভালোবাসে। বাচ্চা খাবার খেতে না চাইলে ওই খাবার খাওয়ানোর জন্যই উঠেপড়ে লাগবেন না, এতে সমস্যা আরো বেড়ে যাবে।
বাচ্চাকে রোজ এক ধরনের খাবার না দিয়ে মাঝেমধ্যে একটু বদলে দেয়ার চেষ্টা করুন। বাচ্চাদের খাবার মানেই একেবারে নরম সেদ্ধ খাবার হতে হবে তা নয়। বাড়িতে তৈরি খাবার হলেই ভালো, পরিষ্কার রান্না করা সুস্বাদু খাবার, যা বাচ্চাদেরও ভালো লাগবে।
শুধু দুধ না দিয়ে খাবারে একটু ডাল, সবজি, মাছ সবকিছু দিন। আগে খাবার মেখে নিজে খেয়ে তারপর বাচ্চাকে খাওয়ান। বাচ্চারাও টেস্টি খাবার খেতে চায়। সেক্ষেত্রে বাচ্চার খাবার অনেক সময় ঘি বা বাটার মিশিয়ে দিতে পারেন অল্প পরিমাণে। আর অবশ্যই পানি খাওয়াতে হবে পরিমাণমতো।
একবেলার খাবারের সঙ্গে আরেক বেলার খাবারে সময়ের ব্যবধান রাখুন। খেলনা, গল্প, ছবি দেখিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান। পছন্দমতো খাবার তৈরি করে বাচ্চার মন জয় করুন।