পপাই দ্য সেইলর কার্টুনের কথা মনে আছে? শত্রু নাবিক ব্লুটোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পপাই ‘স্পিনাচ’ বা পালং শাক খেয়ে অনেক শক্তিশালী হয়ে যেত। বাস্তবের পালং শাকের সেরকম জাদুকরী গুণ না থাকলেও একে অনেক পুষ্টিবিদ ‘সুপার ফুড’ বলে অভিহিত করেন। করবেন নাই বা কেন? কোন খাদ্যগুণটি নেই এই শাকে? মিনারেলস, ভাইটামিন, ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস, প্রোটিন, কার্ব, হেলদি ফ্যাট, ফাইবার, পিগমেন্টস কতকিছু!
পালং শাক নিয়মিত খেলে আমরা অনেক রোগ বালাই থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারব, স্বাস্থ্যও ভাল রাখতে পারব। ডায়েট চার্টে পালং শাকে সপ্তাহে ২-৩ দিন করে সংযোজন করেই দেখুন না। কয়েক মাসের ফলাফল দেখে নিজেই চমকে যাবেন। পালং শাকের অসংখ্য গুণের মধ্যে অল্প কয়টি গুণের ব্যাপারে জেনে নিন আজকে।
১। দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে পালং শাক খুবই উপকারী, এমনকি বয়স্ক মানুষের জন্যও। এর বিভিন্ন খাদ্যগুণ চোখের শুষ্কতা দূর করে, চোখের আলসার সারায় এবং চোখের ফোলাভাব কমায়। এছাড়াও ভাইটামিন-এ এর চাহিদাও পূরণ করে পালং শাক।
২। পালং শাক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে। পটাশিয়াম ও সোডিয়ামে কারণে হাই ব্লাড প্রেশার ও হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রনে খুব কার্যকরী পালং শাক।
৩। ব্লাডার, প্রোস্টেট, লিভার ও ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করে পালং শাক তা চিকিৎসা ও পুষ্টিবিজ্ঞানে প্রমাণিত।
৪। ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস আর পিগমেন্টের উপস্থিতির জন্য নিয়মিত পালং শাক খেলে ত্বক রোদের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা পায়, এবং ত্বকের ক্যানসারে সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়।
৫। পালং শাক শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়, তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও তা কার্যকরী।
৬। পেশি বৃদ্ধি বা হাইপারট্রোফিতেও সাহায্য করে পালং শাক। তাই বডি বিল্ডিং ফুড হিসেবে এর বেশ সুনাম রয়েছে।
৭। পালং শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং ডাইজেস্টিভ ট্র্যাক্ট ভাল রাখে।
৮। মজবুত হাড়েও গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ভাইটামিন-কে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পালং শাকে।