রুক্ষতা ত্বকের জন্য অভিশাপ স্বরূপ। যার রুক্ষ ত্বক, শুধু সেই জানে কতটা কষ্ট এই ত্বককে ম্যানেজ করা। এই রুক্ষ ত্বকে, যত ভালোই ময়েশ্চেরাইজার ব্যবহার করা হোক না কেন, তাতে খুব একটা উপকার হয় না। তবে, এই রুক্ষতা দূর করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদানই ভরসা, কারণ প্রাকৃতিক উপাদানে থাকে না কোনো ক্ষতিকর কেমিক্যাল। আজ আমরা জানবো ত্বকের রুক্ষতা দূর করার অতি সাধারণ, অথচ উপকারী কিছু উপায় সম্পর্কে।
১) অলিভ অয়েল
রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ব্যবহার সবচেয়ে প্রাচীন। অলিভ ওয়েলে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ই আর এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রুক্ষতা দূর করে, আর ত্বককে রাখে সুন্দর কোমল। তাই শুধু শীতেই নয় বরং বারো মাসই ব্যবহার করা যাবে অলিভ অয়েল। দামি কোনো ময়েশ্চেরাইজার কিনে টাকা নষ্ট না করে একবার অলিভ অয়েলের ওপর ভরসা করেই দেখুন, হতাশ হবেন না। তবে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এক্ষত্রে সব থেকে বেশি উপকারী। ত্বকে ব্যবহারের জন্য এর কোনো জুড়ি নেই। গোসলের আগেই পরে যদি সারা শরীরে মেখে নেন, তাহলে ত্বক আর্দ্রতা হারাবে নাl শুষ্ক হবে না। সারা শরীর সহ মুখেও অনায়াসে ব্যবহার করা যাবে এই তেল।
(২) অ্যালোভেরা জেল আর নারকেল তেল
অ্যালোভেরা তো প্রকৃতির জাদু। এটি অনেক অনেক কারণেই ত্বক পরিচর্যায় ব্যবহার করা হয়। ত্বক সুন্দর করা থেকে শুরু করে শরীরের ওজন কমানো -সবকিছুতেও অ্যালোভেরার ব্যবহার রয়েছে। এটা ত্বক আদ্র রাখতেও ভীষণ কার্যকর। তাই ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার তৈরিতে অ্যালোভেরা একটি আদর্শ। আপনার ত্বকে যদি অল্প ইনফেকশন থাকে তাহলে অ্যালোভেরা লাগিয়ে দিলে অল্পতেই ভালো হয়ে যাবে। এটা ত্বক উজ্জ্বল করতেও খুব ভালো ভুমিকা রাখে।
অ্যালোভেরার মতো নারকেল তেল অনেক কাজে বিশেষ করে শরীরের যত্নে ব্যবহার করা যায়l নারকেল তেলের সবচেয়ে ভালো দিক হল নারকেল তেল স্টিকি না আর এটা ভিটামিন ই সমৃদ্ধ বিধায় এটি ত্বক আদ্র রাখে। ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বককে টানটান রাখতে, ত্বক উজ্জ্বল করতে আর সানবার্ন দূর করতে নারকেল তেলের বিকল্প পাওয়া যাবে না। এলোভেরা জেল আর নারকেল তেলের মিশ্রনে খুব ভালো একটা সিরাম বানানো যায় যা রুক্ষ ত্বকের জন্য খুবই উপকারি।
বাজারে কিনতে পাওয়া এলোভেরা জেল অথবা প্রাকৃতিক জেলের সাথে খানিকটা নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে কৌটায় সংরক্ষণ করুনl চাইলে এটার সাথে দুইটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল যোগ করা যেতে পারে। আপনি চাইলে সিরামতি ফ্রিজেও রাখতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার মুখে পরিষ্কার মুখে এই সিরামতি লাগিয়ে নিতে পড়েন। ত্বকে কোমল ভাব চলে আসবে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই।